ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে পর্যটকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যে কোনো সময় পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
চলতি মাসে পর্যটকদের তিন পার্বত্য জেলায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। সম্মিলিত বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ জানিয়েছে, নিরাপত্তা শঙ্কা থাকায় এবার কঠিন চীবরদান হবে না৷ প্রশাসনের ‘রহস্যজনক’ ভূমিকা শঙ্কা বাড়িয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা৷
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার ঘটনায় তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ডাকা হলেও ৬০ ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিন গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় অবরোধ তুলে নেয় জুম্ম ছাত্র-জনতা।
অবিলম্বে পানছড়ি থেকে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার জন্য জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক ও মুখপাত্র অংগ্য মারমা।
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর হামলা, খুন এবং ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। গতকাল রোববার অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও পার্বত্য জেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। অবরোধকে
একটি মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পার্বত্য তিন জেলা হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পাহাড়ি-বাঙালি দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গোলাগুলিতে খাগড়াছড়িতে তিন এবং রাঙামাটিতে একজন নিহত হয়েছেন। ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক সরকারি স্থাপনা এবং দোকানপাট। বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার এসব ঘটনা ঘটে। নতুন করে সহিংসতা এড়াতে
পার্বত্য অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই অভিযোগ করছেন, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির কোনো কোনো স্থানে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই।
পাহাড়ে উত্তেজনা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ানো হচ্ছে নানা ভিডিও। এসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সংঘাতের বিভিন্ন দৃশ্য। কোনো কোনো ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অস্ত্রধারীদের। এমন দুটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিও দুটিতে থাকা অস্ত্রধারীরা ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসী’।
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনমন চায় ভারতীয় চাকমারা। একই সঙ্গে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে দেশটির চাকমা নেতারা মোদিকে
‘রেহান (Rehan)’ নামের একটি ফেসবুক পেজে আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এমন একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা, ‘কত সুন্দর, অটোমেটিক–সেমি অটোমেটিক gu n নিয়ে তারা ঘোরাঘুরি করছে।’
পার্বত্য অঞ্চলে বিরাজমান অস্থিরতায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা।
তিন পার্বত্য জেলার বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সংযম দেখাতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার বেলা ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি জারি থাকবে বলে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে...
সংবাদ সম্মেলনে মেজবাহ কামাল, ড. কামাল হোসেন ও তাঁর মেয়ে আইনজীবী সারা হোসেন এবং মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামালকে ইঙ্গিত করে কাজী মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘এই চার কামালে পাহাড় বেসামাল। ওনারা কখনো পাহাড়ে যাননি, ঢাকায় বসে কথা বলেন। ওনাদের কারণে পাহাড়ের অবস্থা বেসামাল হয়ে যাচ্ছে
অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে খাগড়াছড়ির রামগড়বাসীর। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার আগামী ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে। গতকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়াল এক সভায় ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চ
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, ‘১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের একটি অংশ এটি বাতিলের জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। প্রতিহত করতে না পারলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব আর
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামের হেডম্যান কার্বারিরা সচেতন নয়। চুক্তি বাস্তবায়ন হলে হেডম্যান কার্বারিরা আরও সক্ষমতা পাবে। কিন্তু সে চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পার্বত্য চুক্তি